দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্যে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপকে ভালোবাসেন, তবে তার “কিন্তু” দিয়ে শুরু হওয়া বার্তা ইউরোপের কর ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। দাভোস, সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখার সময়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্কনীতি এবং ধীর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি ইউরোপে বন্ধু পেয়েছি, কিন্তু যা কিছু অনুমোদন পেতে সময় লাগে, তা খুবই হতাশাজনক। বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে এটি আরও জটিল।”
ট্রাম্প উল্লেখ করেন যে, তিনি আয়ারল্যান্ডে একটি অনুমোদন পেয়েছেন, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নে একই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। তিনি বলেন, “আমার প্রতিনিধি ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু দ্রুত বুঝতে পারলাম যে এটি একটি বড় সমস্যা হতে চলেছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুবই অন্যায় আচরণ করছে। তারা আমাদের কৃষিজাত পণ্য এবং গাড়ি ক্রয় করে না। বরং এসব পণ্যে শুল্ক আরোপ করে।”
তিনি অভিযোগ করেন যে ইউরোপে ভ্যাট এবং অন্যান্য করগুলো অত্যন্ত বেশি। তার মতে, এই কারণেই ইউরোপের প্রক্রিয়া এত জটিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে অন্যায্য সুবিধা নেওয়া হচ্ছে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে একটি প্রস্তাব এবং একটি হুমকি উভয়ই দেন। তিনি বলেন, “আমার বার্তা খুবই সহজ। সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলছি—আপনার পণ্য আমেরিকায় তৈরি করুন। আমরা আপনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে কম কর প্রদান করার সুযোগ দেব।”
তবে যারা আমেরিকায় বিনিয়োগ করবেন না, তাদের প্রতি ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, “আপনার পণ্য যদি আমেরিকায় তৈরি না হয়, তবে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে।”
বক্তৃতা শেষে তিনি তার সুরক্ষা-নির্ভর নীতিগুলো তুলে ধরে বলেন যে, তার প্রশাসন বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি তেল শিল্পে বিনিয়োগ এবং মার্কিন মুলুকের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্পের এই বার্তা ইউরোপীয় নেতাদের জন্য একটি স্পষ্ট সংকেত, যা তাদের কর নীতি এবং বাণিজ্যিক শর্তাবলীতে পরিবর্তন আনতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে ইউরোপ এই হুঁশিয়ারিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।