প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইমিগ্রেশন অভিযানবিরোধী চতুর্থ দিনের বিক্ষোভের মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলসে আরও হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে, যা এখন ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য মার্কিন শহরেও।
প্রতিবেদনে জানা যায়, ইতোমধ্যে ৭০০ মার্কিন মেরিন সেনা লস অ্যাঞ্জেলস এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে, এবং ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ করে ৪,০০০ তে পৌঁছানো হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম এই পদক্ষেপকে “একটি স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্টের বিকৃত কল্পনা বাস্তবায়ন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। রাজ্য সরকার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, কারণ গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই ফেডারেল সেনা মোতায়েন একটি অসাধারণ ও অস্বাভাবিক পদক্ষেপ।
এই পরিস্থিতি ১৯৬৫ সালের পর প্রথম যেদিন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই একটি শহরে জাতীয় রক্ষীবাহিনী (ন্যাশনাল গার্ড) পাঠালেন। আগে শুধু হ্যারিকেন ক্যাটরিনা (২০০৫) এবং ৯/১১ হামলার পর (২০০১) এই ধরনের সেনা মোতায়েন দেখা গিয়েছিল।
স্থানীয় প্রসিকিউটর নাথান হকম্যান বলেন, যদিও মাত্র অল্প সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে, তবুও কিছু অংশে আইন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “বিক্ষোভকারীরা ওয়েইমো গাড়িতে আগুন দিয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও ব্লক ছুঁড়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশের ওপর উঠে গেছে এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে ভাঙচুর ও গ্রাফিতি করেছে।”
এদিকে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে আটককৃত অন্তত চারজন মেক্সিকান নাগরিককে ইতোমধ্যেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা গত শুক্রবার থেকে আটক ছিলেন।
LA কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি বলেন, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন অপ্রয়োজনীয়। এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন ইনসারেকশন অ্যাক্ট কার্যকর করেনি, যার মাধ্যমে সেনারা সরাসরি বেসামরিক আইন প্রয়োগে অংশ নিতে পারত।