প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেওয়া কঠোর অভিবাসননীতি অনুযায়ী গত ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ (৪৬ দিনে) যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ৩৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ঢাকার হজরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তদানীন্তন ইমিগ্রেশন পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের উৎস দেশগুলোতে ফেরত পাঠানোর অভিযান শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় এই ৪৬ দিনে ৩৪ জন বাংলাদেশি ফেরত সাব্যস্ত হয়। ফেরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা, মাদকদ্রব্য আইন লঙ্ঘন ও অন্যান্য অবৈধ আবাসনসংক্রান্ত মামলা ছিল। তারা অভিবাসন আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরকার তাদের নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে পরাজিত ব্যক্তিদের তালিকা ইমিগ্রেশন অর্গান থেকে আমাদের মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। আমরা প্রবাসী কল্যাণ বিভাগ ও দূতাবাসের মাধ্যমে প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে থাকি।” তিনি জানান, প্রত্যেক ফেরত ব্যক্তির ভিসা অবস্থান, মামলা নথি ও স্বজনদের যোগাযোগের বিবরণ আগে থেকে প্রস্তুত রাখা হয়।
ফেরত পাঠানো ৩৪ জনের মধ্যে কেউ কেউ দণ্ডিত অপরাধী হওয়ায় তাদের রেকর্ড সংশ্লিষ্ট বিভাগে হালনাগাদ করা হয়েছে। অনেকে অর্থনৈতিক কারণে ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান পরিবর্তন না করায় সমস্যায় পড়েছিলেন। দেশে ফেরার পর বাংলাদেশি কর্মকর্তারা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, আইনি ও সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করছেন।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আদালতের ‘final removal order’ জারি হয়েছে, তাঁদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আগামী মাসগুলোতেও আরো বাংলাদেশি ফেরত আসতে পারে।” মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে প্রবাসীদের তথ্য আদান‑প্রদান করবে এবং কল্যাণমূলক সহায়তা প্রসারিত করবে।