মেক্সিকো সীমান্তে ২.৭ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপেক্ষায়, ট্রাম্প CBP One অ্যাপ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন
মেক্সিকো সীমান্তে প্রায় ২.৭ লাখ অভিবাসী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন, যারা একটি সরকারি অ্যাপের মাধ্যমে প্রবেশের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অ্যাপ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সিবিএস নিউজ প্রাপ্ত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও বর্ডার প্রোটেকশন (CBP) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ২.৭ লাখ অভিবাসী মেক্সিকোর বিভিন্ন অংশ থেকে CBP One নামে পরিচিত একটি অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে চাচ্ছেন। বাইডেন প্রশাসন এই অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় প্রার্থনা প্রক্রিয়ার প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই অ্যাপটি ব্যবহার করে অভিবাসীরা সীমান্তের নির্দিষ্ট অংশে উপস্থিত হয়ে মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে প্রসেসিংয়ের সময় নির্ধারণ করতে পারেন। অ্যাপটি চালু হওয়ার পর থেকেই এটি অভিবাসীদের জন্য বৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করছে। এর আওতায় যেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, তারা কাজের অনুমতিপত্র এবং অভিবাসন আদালতে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার মনোনীত স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব, সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নোম, CBP One অ্যাপটি বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন। এর ফলে মেক্সিকোর সীমান্তে অপেক্ষমান অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের এই প্রক্রিয়াটি হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯.১৯ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। তবে, যারা ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, তাদের জন্য পরবর্তী প্রশাসনের পরিকল্পনা এখনো স্পষ্ট নয়। যাদের আশ্রয় প্রার্থনা আদালতে বিচারাধীন, তাদের কেস খারিজ না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাসনের ঝুঁকিতে থাকবেন না।
মেক্সিকোতে অপেক্ষমান অভিবাসীদের অনেকেই হাইতি, ভেনেজুয়েলা এবং অন্যান্য সংকটময় দেশ থেকে এসেছেন। CBP One অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেলে এই অভিবাসীরা বৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ হারাতে পারেন।
এই পরিস্থিতি অভিবাসন নীতি ও মানবিক সংকটের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবে, তা এখন দেখার বিষয়।