উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে কি এটিই সেরা সেমিফাইনাল? খেলা শেষে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে একটাই সুর—‘অবশ্যই হ্যাঁ!’ ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনার মধ্যকার এই দ্বৈরথে ছিল রোমাঞ্চ, নাটক, বাঁকবদল আর শেষ মুহূর্তের রুদ্ধশ্বাস গোল, যা যুগের পর যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রথম লেগে বার্সার মাঠে ৩–৩ গোলে ড্রয়ের পর দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় লেগটিও ছিল একেবারে সিনেমার মতো। সান সিরোতে আয়োজিত উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নির্ধারিত সময় শেষে আবারও ৩–৩ গোলে সমতায় থাকল ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে বদলি খেলোয়াড় ডেভিড ফ্রাত্তেসির জয়সূচক গোল ইন্টার মিলানকে ৪–৩ ব্যবধানে জয়ের স্বাদ দেয়। দুই লেগ মিলিয়ে ৭–৬ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট কেটে নেয় ইতালিয়ান ক্লাবটি।
প্রথমার্ধেই লাওতারো মার্তিনেজ ও হাকান চালহানোয়লুর গোলে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার। মনে হচ্ছিল, বার্সার জন্য আজকের রাতটা হতে যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এরিক গার্সিয়া ও দানি ওলমো গোল করে কাতালানদের ম্যাচে ফেরান। এরপর ৮৮ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।
কিন্তু নাটকীয়তার তখনো বাকি ছিল। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিসের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ফ্রান্সেসকো আচেরবি। ফলাফল ৩–৩। সান সিরোর গ্যালারি তখন যেন বিস্ফোরিত উল্লাসে কাঁপছে।
দুই লেগ মিলিয়ে ৬–৬ গোলে সমতায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই দেখা মেলে নায়ক ডেভিড ফ্রাত্তেসির। ইরানি ফরোয়ার্ড মেহদী তারেমির পাস থেকে অসাধারণ এক গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন তিনি। এই ফ্রাত্তেসিই কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে জয়সূচক গোল করেছিলেন।
৩১ মে মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানের প্রতিপক্ষ হবে পিএসজি অথবা আর্সেনাল। সিমোন ইনজাগির দল যখন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়, বার্সেলোনা তখন ডুবে আছে হতাশায়—হাতছাড়া হয়েছে তাদের আরেকটি ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন।