যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি: ১৭ শতাংশ কম হার নির্ধারণকে ‘কূটনৈতিক বিজয়’ বললেন প্রধান উপদেষ্টা

us bangladesh tariff at chief adviser

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নির্ধারণকে এক “গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয়” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করায় আমরা বাংলাদেশের শুল্ক আলোচক দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩৭ শতাংশ শুল্কের আশঙ্কা থাকলেও ২০ শতাংশ হার নির্ধারণ হয়েছে—যা ১৭ শতাংশ কম। এটি আমাদের কৌশলগত সাফল্য ও কূটনৈতিক দক্ষতার প্রতিফলন।”

তিনি আরও বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের আলোচকরা কঠোর পরিশ্রম করে শুল্ক, অ-শুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিল ইস্যুগুলোর মধ্য দিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন। তাদের কৌশলগত প্রজ্ঞা ও অটল প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে এই সাফল্যে পৌঁছে দিয়েছে।”

চুক্তির সুফল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকারের দিক থেকে এটি আমাদের অবস্থানকে আরও মজবুত করেছে। এই সাফল্য শুধু আমাদের তুলনামূলক সুবিধা ধরে রাখেনি, বরং আরও বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে।”

তিনি এটিকে বাংলাদেশের “আন্তর্জাতিক মর্যাদা, দ্রুততর প্রবৃদ্ধি এবং স্থায়ী সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ” হিসেবে উল্লেখ করেন।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক ঘোষণায় পরিবর্তিত শুল্কনীতির বিষয়টি জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত দফায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তা কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।