জাতিসংঘে আশ্রয়প্রার্থীদের “ভুয়া” বললেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

fake asylum seekers

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (UNGA) ফাঁকে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকাংশকে “ভুয়া” আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী ও আশ্রয়নীতি সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।

ল্যান্ডাউ বলেন, বর্তমান আশ্রয় আইনগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হচ্ছে এবং দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন—

“শত-সহস্র ভুয়া আশ্রয়প্রার্থী থাকলে প্রকৃত আশ্রয়প্রার্থীদের কী হবে?”

কসোভো, বাংলাদেশ, পানামা ও লাইবেরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি জানান, আশ্রয়প্রদানকে অস্থায়ী সুরক্ষা হিসেবে দেখা উচিত এবং শরণার্থীদের সুযোগ পেলে দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।

ল্যান্ডাউ আরও বলেন—

“কে আসবে, কোন পরিস্থিতিতে আসবে এবং কতদিন থাকবে—সেটা আমরা নির্ধারণ করব। এটাই সার্বভৌমত্বের মূল উপাদান।”

তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিবাসনকে উৎসাহিত করছে এবং অনেক সময় আশ্রয়প্রার্থীদের নির্দিষ্ট “স্ক্রিপ্ট” দিয়ে শেখানো হয় যাতে তারা শুনানির সুযোগ পায়।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে আশ্রয়নীতির সমালোচনা করে বলেন, “এই নীতির কারণেই দেশগুলো ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।”

তবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) ফিলিপ্পো গ্রান্দি ল্যান্ডাউয়ের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আশ্রয় একটি প্রাচীন ধারণা এবং মানবিক কারণে এর গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আশ্রয় ও অভিবাসন নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হচ্ছে। ২১শ শতাব্দীর অন্যতম বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই এ ইস্যুটি সামনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।