মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে চীনকে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য দেওয়া একটি আল্টিমেটাম। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করতে বেইজিংকে সময়সীমা দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে চীন শুল্ক প্রত্যাহার না করায় যুক্তরাষ্ট্র এই কঠোর পদক্ষেপ নিল।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এবং ট্রুথ সোশ্যাল-এ একাধিক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “তেলের দাম কমেছে, সুদের হার কমেছে, খাদ্যের দাম কমেছে, কোনো মূল্যস্ফীতি নেই। যেসব দেশ আমাদের শোষণ করত, শুল্কের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন সপ্তাহে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আদায় করছে।”
তিনি চীনকে ‘সবচেয়ে বড় শোষক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “চীনের বাজার ভেঙে পড়ছে। তারা আমার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ অগ্রাহ্য করে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে—যা তাদের আগের অবিশ্বাস্য উচ্চ শুল্কগুলোর ওপর বসানো হয়েছে!”
আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, “এই ৩৪ শতাংশ শুল্ক মঙ্গলবারের মধ্যে প্রত্যাহার না করলে পরদিন চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুরুতে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পরে রেসিপ্রোকাল শুল্ক নীতির আওতায় আরও ৩৪ শতাংশ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ঘোষণার মাধ্যমে তা বেড়ে দাঁড়াল ১০৪ শতাংশে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।