ইউরোপের দেশ গ্রিসে কর্মী পাঠানোতে ভিসা জটিলতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, প্রতিবছর গ্রিসে কৃষি ভিসায় চার হাজার কর্মী নেওয়া কথা থাকলেও সে পরিমাণ কর্মী ভিসা জটিলটার কারণে যেতে পারছে না। বাংলাদেশের সাথে কর্মী পাঠাতে ২০২২ সালে গ্রিসের চুক্তি হয়। কৃষি শ্রমিক হিসেবে দেওয়া হবে পাঁচ বছরের ওয়ার্ক পারমিট। কিন্তু ২০২২ সালে গ্রিসে গেছেন মাত্র ১২ জন, ২০২৩ সালে ৭৭ জন এবং এ বছর ২৫ জন কর্মী। গ্রিসের কৃষি, পর্যটন, নির্মাণ ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতে বিদেশি কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘প্রতি বছর জব মার্কেটে ২৫ লাখ লোক ঢোকে। এর মধ্যে চার হাজার লোক গ্রিসে পাঠানো যাবে না, এটি মানা যায় না। এ কারণে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের চুক্তি হয়েছে, সেসব দেশের একটি সার্ভিস সেন্টার বা কনস্যুলেট অফিস আমাদের দেশে খোলা যায় কিনা তা দেখতে হবে।
গ্রিসের কৃষি, পর্যটন, নির্মাণ ও পোশাক শিল্পে বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন অনেক। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে সেই চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। এতে করে কর্মীদের পরিবার ও দেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ঢাকায় গ্রিস দূতাবাস স্থাপন, বাংলাদেশে গ্রিসের সার্ভিস সেন্টার/কনস্যুলেট অফিস খোলা, বিকল্প দেশের সাথে চুক্তি এবং উন্নত অভিবাসন ব্যবস্থা এই সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে। সরকার, রিক্রুটিং এজেন্সি ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই সমাধান বের করা সম্ভব।