ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও হতাশ বাংলাদেশ

Bangladesh disappointed in bowling after batting failure

ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পর বল হাতেও কিছু করতে পারল না বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে সফরকারীরা কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৬৭ রান। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়ের বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সূচনা ঘটে।

প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৩১ রানে। ভিক্টর নিয়াউচির বলে টাইমিং করতে না পেরে ১২ রানে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। নিজের পরের ওভারে জয়কেও ফিরিয়ে দেন নিয়াউচি। উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রান করে ফিরতে হয় তাঁকেও।

এরপর শান্ত ও মমিনুল হক মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। লাঞ্চের আগেই তাঁদের জুটি পৌঁছে যায় ৫০-এ। লাঞ্চের পর জুটি আরও ৬৬ রানে গড়ায়। তবে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে অফ স্টাম্পের বাইরে বল তাড়া করে ক্যাচ তুলে ফেরেন শান্ত। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।

এরপর শুরু হয় নিয়মিত উইকেট পতনের মিছিল। মুশফিকুর রহিম ৪ রানে ফিরলে ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। একপ্রান্ত আগলে রাখা মমিনুল হক তুলে নেন ফিফটি, তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। মাসাকাদজার বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৫৬ রানে ফিরে যান তিনিও।

মেহেদী হাসান মিরাজ (০), তাইজুল ইসলাম (৩), হাসান মাহমুদ (১৯), জাকের আলি অনিক (২৮) ও নাহিদ রানা (০) দ্রুত ফিরে গেলে ৬০.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ও মাসাকাদজা নেন ৩টি করে উইকেট। নিয়াউচি ও মাধেভেরে দখল করেন ২টি করে উইকেট।

ছোট পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপ তৈরির চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে সফল হননি কোনো বোলারই। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছেন। দিনের শেষে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে। বেনেট ৪০ ও কারেন ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ১২৪ রানে। হাতে নেই কোনো সাফল্য। দ্বিতীয় দিনে ম্যাচে ফিরতে হলে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে হবে স্বাগতিকদের।