সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গলে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ফিরে এলেও মাঠে বাংলাদেশ দলের ওপর যেন ছায়া ফেলল আক্ষেপের। মুশফিকুর রহিমের সম্ভাব্য ডাবল সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গের পর ছন্দ হারায় বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে হঠাৎ ধস নেমে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৪৮৪ রানে দিন শেষ করে টাইগাররা।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে যখন খেলা আবার শুরু হয়, তখন মাঠে ছিল সূর্যের ঝলক। কিন্তু তার আগেই দেড় ঘণ্টা খেলা হয়েছিল, আর বৃষ্টি বন্ধের পর আরও প্রায় ১ ঘণ্টা কেটেছে কাভার সরানোর কাজে। স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টায় যখন খেলা পুনরায় শুরু হয়, মাঠ তখনো ছিল ঝকঝকে ও প্রস্তুত।
তবে এই দীর্ঘ বিরতির পরেই যেন খেই হারায় বাংলাদেশ। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের দ্বিতীয় ধাপে খেলা হলেও তাতে হেলে পড়ে টাইগারদের ইনিংস। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৪২৩; সেখান থেকে দিন শেষে হয়ে যায় ৯ উইকেটে ৪৮৪। মাঝে মাত্র ৬১ রানে হারায় ৫ উইকেট।
এর আগে দিনের প্রথম সেশনে দারুণ জুটি গড়ে তুলেছিলেন মুশফিক ও লিটন। মুশফিক করেন ১৬৩ রান, আর লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৯০ রান। দুজনই পেয়েছিলেন নতুন জীবন—কিন্তু তা কাজে লাগিয়ে কেউ পৌঁছাতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি এবং লিটনের সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেসে যায় শ্রীলঙ্কান পেসারদের রিভার্স সুইংয়ে।
বৃষ্টির আগে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি ১৪৮ রান করে মিড-অফে ক্যাচ দেন। তাঁর বিদায়ে ভেঙে যায় ২৬৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। মাত্র ৩ রান দূরে থেকে হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ার সুযোগ।
বৃষ্টির পর রিভার্স সুইংয়ে ফেরেন মুশফিক, জাকের আলী ও তাইজুল। শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ দ্রুত গুটিয়ে যেতে থাকে। যদিও মাঠে নামেন হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা—তাদের শেষ উইকেট জুটির ওপর তাকিয়ে থাকবে দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫১ ওভারে ৪৮৪/৯
(মুশফিক ১৬৩, নাজমুল ১৪৮, লিটন ৯০; মিলন ৩/৩৮, আসিতা ৩/৯০, থারিন্দু ৩/১৯৬)