গলে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছে দুই দল। কামিন্দু মেন্ডিসের অনবদ্য ৮৭ রানের ইনিংস, নাঈম হাসানের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ পাঁচ উইকেট এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে শাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর হাফসেঞ্চুরিতে দিন শেষে ১৮৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতে ৩৬৮/৪ স্কোর নিয়ে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় দলটি। সকালে দীনেশ চান্দিমাল ও কুশল মেন্ডিসকে দ্রুত হারায় স্বাগতিকরা। দীনেশকে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ বানান নাঈম হাসান, আর কুশল মেন্ডিস হন হাসান মাহমুদের শিকার।
এই অবস্থায় দায়িত্ব নেন কামিন্দু মেন্ডিস। মিলান রাথনায়েকের সঙ্গে ৮৪ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন তিনি। নাহিদ রানার শর্ট বলকে ছক্কায় পরিণত করা কামিন্দু হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় স্কোর ছিল ৪৬৫/৬।
দ্বিতীয় সেশনে ফিরে দ্রুত উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। মিলান মাহমুদের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন ৩৯ রানে। এরপর এক ওভারেই কামিন্দু (৮৭) ও থারিন্দু রাথনায়েককে ফেরান নাঈম হাসান। এরপর প্রবাথ জয়াসুরিয়া ও আসিথা ফার্নান্দো কিছু বাউন্ডারি মারলেও, আসিথাকে বোল্ড করে নিজের ইনিংসের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন নাঈম। শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৪৮৫ রানে, বাংলাদেশ পায় ১০ রানের লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। এনামুল হক এলবিডব্লিউ হওয়া থেকে রিভিউ ও আম্পায়ারের কলের কারণে বেঁচে যান। শাদমান দুই চারে শুরু করলেও এনামুল (১৮) ফেরেন জয়াসুরিয়ার বলে। মমিনুল হক থারিন্দুর বলে ছক্কা হাঁকালেও পরে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান।
টি-ব্রেকের সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬৫/২। এরপর শান্ত ও শাদমান গড়েন ৬৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শাদমান তুলে নেন তার অর্ধশতক। শান্তও দিনশেষে অপরাজিত থেকে নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন। মিলান রাথনায়েক এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন শাদমানকে (৭৬), তবে শান্ত (৫৬*) ও মুশফিকুর রহিমের ছোট জুটি দিনশেষে বাংলাদেশের রান নিয়ে যায় ১৭৭/৩ এ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৯৫ ও ১৭৭/৩ (শাদমান ইসলাম ৭৬, শান্ত ৫৬*, মিলান রাথনায়েকে ১-১৩)
শ্রীলঙ্কা: ৪৮৫ (নিসাঙ্কা ১৮৭, কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭, নাঈম হাসান ৫-১২১)
লিড: বাংলাদেশ এগিয়ে ১৮৭ রানে।