চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে প্রথম দিনেই ব্যতিক্রমী এক ঘটনা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোড়ন তোলে। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে গিয়ে রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছায় এক ছাত্রী। ফলস্বরূপ, সে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
কেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় ছাত্রীটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। গণমাধ্যমেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়।
ঘটনাটি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানায়, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে, “মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “তার এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই ঘটনায় গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এখন অপেক্ষা, কত দ্রুত ও কীভাবে শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ছাত্রীটির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।