শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ায় বিস্মিত বিসিবি সভাপতি, বললেন ‘আরও চিন্তা করা উচিত ছিল’

Najmul Hossain Shanto

বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর পদত্যাগে বিস্মিত ও হতাশ হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার মতে, দলের স্বার্থে শান্তর আরও চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।

বিসিবি সভাপতি বলেন, “শুনছিলাম উড়ো উড়ো কথা। এ জন্যই ফাহিম ভাইকে কলম্বোতে পাঠানো হয়েছিল শান্তর সঙ্গে কথা বলার জন্য। সেখানে তিনি ড্রেসিংরুমে তিন অধিনায়ককেই একসঙ্গে পেয়ে তাদের সঙ্গে বসে কথা বলবেন—এই ছিল পরিকল্পনা।”

তিনি জানান, শ্রীলঙ্কা সফরের মতো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ চলাকালে এমন সিদ্ধান্ত দলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। “আমরা তো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেছি ওখানে। টেস্ট ম্যাচটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি সে পদত্যাগ না করত! দেশে হলে একটা কথা ছিল, বিদেশে খেলা চলাকালে এমন সিদ্ধান্ত দলের জন্য ভালো না। আর ও তো অন্য সংস্করণের দলেও আছে,” বলেন বুলবুল।

তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, একজন অধিনায়ক হিসেবে আরেকটু চিন্তা করতে পারত সে। দলটা তো আগে।”

শান্তর নেতৃত্ব ইস্যুতে ইতোমধ্যে ক্রিকেটপাড়ায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এক সময় তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বে থাকা শান্ত প্রথমে স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়েন। পরে হঠাৎ করেই ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মেহেদী হাসান মিরাজকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই ফরম্যাটে, যা শান্তর ভালো লাগেনি বলে জানা গেছে।

তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের তত্ত্বে আপত্তি থাকা শান্ত তাই কলম্বো টেস্ট শেষে গণমাধ্যমের সামনে ঘোষণা দেন, তিনি আর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না।

শান্তর এই হঠাৎ সিদ্ধান্তে বিস্মিত হন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমও, যিনি তখন কলম্বোতেই অবস্থান করছিলেন।

বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, শান্তর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে আরও ভেবে নেওয়া উচিত ছিল, বিশেষ করে দল যখন বিদেশ সফরে রয়েছে এবং সে এখনও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অংশ।