পর্তুগালের সরকার অভিবাসন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর এবং কার্যকর নীতির দিকে এগোচ্ছে। পাবলিক সিকিউরিটি পুলিশ (PSP)-এর ১৫৮তম বার্ষিকীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া লুসিয়া আমারাল ঘোষণা দিয়েছেন, “অপরাধ দমন নয়, পুলিশের মূল মনোযোগ এখন থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় থাকতে হবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “পর্তুগাল ইউরোপীয় মুক্ত চলাচল চুক্তির অংশ হওয়ায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য।” তিনি স্পষ্ট করে দেন, “পর্তুগাল একটি উন্মুক্ত ও বহুসাংস্কৃতিক দেশ হিসেবেই থাকবে, তবে তা অবশ্যই জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে।”
‘মিনি-SEF’ ইউনিট চালুর প্রস্তাব জাতীয় সংসদে
মন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, PSP-এর অধীনে একটি নতুন ইউনিট ‘National Unit for Foreigners and Borders’ গঠন সরকারের অভিবাসন, আশ্রয় ও প্রত্যাবাসন নীতিতে একটি “গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক”। এই নতুন ইউনিটটি ‘মিনি-SEF’ নামেও পরিচিত, যা ২০২৩ সালে বিলুপ্ত হওয়া ‘Service for Foreigners and Borders (SEF)’-এর কার্যক্রমের জায়গা নেবে।
এই প্রস্তাব এই শুক্রবার পর্তুগালের সংসদে আলোচনা হবে, যেখানে পূর্ববর্তী সংসদে PS ও Chega দল একই ধরনের একটি প্রস্তাব নাকচ করেছিল।
সংসদে প্রস্তাব পাস না হওয়া পর্যন্ত PSP-এর এই ইউনিটের অপারেশন, জনবল ও লজিস্টিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, বলে জানান মন্ত্রী আমারাল। “কোন কর্তৃত্ব এই ইউনিট পাবে, তা নিয়ে স্পষ্ট আইন পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।”
২০২৩ সালে SEF বিলুপ্ত হওয়ার পর, এর কার্যক্রম PSP, GNR, PJ ও AIMA-র মধ্যে ভাগ করা হয়। তবে সরকার বলছে, এই ব্যবস্থা যথাযথভাবে কাজ করছে না, এবং অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ কার্যকর করা যাচ্ছে না।
এই প্রেক্ষাপটে নতুন ইউনিট “একটি সীমানা পুলিশ বাহিনী” হিসেবে কাজ করবে—সীমান্তে নজরদারি, অভিবাসীদের পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের দেশে ফেরত পাঠানোই হবে এর মূল দায়িত্ব।