হাঙ্গেরি সরকার সম্প্রতি শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারি করেছে, যা ২০২৫ সালে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে কর্মী আনার কোটা প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। বড়দিনের আগে প্রকাশিত এই গেজেট নিয়ে এখনও বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়া না গেলেও বিষয়টি বাংলাদেশি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সরকারের নতুন গেজেটে দুটি প্রধান পরিবর্তন আনা হয়েছে:
গেস্ট ওয়ার্কার রেসিডেন্স পারমিট:
ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে কর্মী আনার জন্য ২০২৩ সালের শেষে হাঙ্গেরি সরকার গেস্ট ওয়ার্কার রেসিডেন্স পারমিট চালু করেছিল। তবে নতুন নিয়মে ২০২৫ সালে এই কর্মসূচি কেবল দুইটি দেশের জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে – জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া।
এমপ্লয়মেন্ট বেইজড রেসিডেন্স পারমিট:
বিদেশি কর্মীদের জন্য হাঙ্গেরির এমপ্লয়মেন্ট বেইজড রেসিডেন্স পারমিট প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়াও নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য সীমাবদ্ধ হতে পারে।
কর্মী আনার কোটা হ্রাস
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালে হাঙ্গেরি ৩৫,০০০ বিদেশি কর্মী নেবে, যেখানে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৫,০০০। এই পরিবর্তনের পেছনে হাঙ্গেরির স্থানীয় কর্মীদের সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরিতে চাকরির জন্য আগ্রহী কর্মীরা নতুন নিয়ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা করছেন। বাংলাদেশে অবস্থিত হাঙ্গেরির কনস্যুলেট আপাতত নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, যা হাঙ্গেরির ক্ষেত্রেও প্রতিনিধিত্ব করে, জানিয়েছে যে তারা হাঙ্গেরির নতুন নিয়মের ওপর নজর রাখছে। তবে বর্তমানে ভিয়েনায় কোনো রাষ্ট্রদূত না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
জানা গেছে, বর্তমানে ভিয়েনা অবস্থিত বাংলাদেশ দূতবাসে কোনো রাষ্ট্রদূত নেই৷ তবে খুব দ্রুতই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একজন রাষ্ট্রোদূত পাঠানো হবে৷ দূতাবাস সূত্র জানায়, তারা হাঙ্গেরি সরকারের নতুন গেজেটের বিষয়টি উপর নজর রাখছেন৷