জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের – এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “নির্বাচনের আগে কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার রয়েছে, যেগুলো সম্পন্ন হওয়া জরুরি। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংস্কারের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে।”
নির্বাচনে সহায়তা দিতে ইইউ আগ্রহী বলেও জানান তিনি। তবে নির্বাচন কখন হবে, তা একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মত দেন মিলার।
জুলাইয়ে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের বিচারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে এখন একটি বড় ধরনের সংস্কারের সুযোগ এসেছে, যা কাজে লাগানো উচিত।”
রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “উভয় পক্ষের ভুক্তভোগীদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। সবাই যেন সমানভাবে ত্রাণ পায়, সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার চাইলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যথাযথ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে হবে।