বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর যে গল্প রিয়াল মাদ্রিদের শিরায়-শিরায়, এবার তা থেমে গেল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই। ইউরোপের মঞ্চে নিজেদের দুর্গ বলে পরিচিত এই স্টেডিয়ামে আজ আর কোনো রূপকথা লেখা গেল না।
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালের কাছে ২–১ গোলে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে ৫–১ ব্যবধানে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে ১৬ বছর পর সেমিফাইনালে উঠল মিকেল আরতেতার আর্সেনাল। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি।
প্রথমার্ধে মাঠে ছিল উত্তেজনা, ভুল সিদ্ধান্ত, ভিএআরের হস্তক্ষেপ, কিন্তু ছিল না কোনো গোল। খেলার ৬ মিনিটেই অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয় এমবাপ্পের করা গোল। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বুকায়ো সাকা—তাঁর পানেনকা শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া।
২৩ মিনিটে এমবাপ্পেকে জার্সি ধরে ফাউল করায় আবার পেনাল্টির বাঁশি বাজান ফরাসি রেফারি ফ্রাঁসোয়া লেতেক্সিয়ে। তবে ভিএআর দেখে জানা যায়, এমবাপ্পের আগে অফসাইডে ছিলেন রদ্রিগো, ফলে পেনাল্টি ও হলুদ কার্ড—দুই সিদ্ধান্তই বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় নামিয়ে আক্রমণ বাড়ায় রিয়াল। কিন্তু ৬৫ মিনিটে বিপরীতে গিয়েই গোল খেয়ে বসে তারা। বুকায়ো সাকার দারুণ ফিনিশে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। এর ঠিক দুই মিনিট পর গোল শোধ দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ডিফেন্ডার সালিবার ভুলে বল পেয়ে একা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
তবে সে আশাও বেশি স্থায়ী হয়নি। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়ালের ওপরে উঠে খেলাকে কাজে লাগিয়ে পাল্টা আক্রমণে গোল করেন আর্সেনালের মার্তিনেল্লি। সেই গোলই যেন রিয়ালের ইউরোপীয় মঞ্চে বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়।
ম্যাচ পরিসংখ্যান (দুই লেগ মিলিয়ে):
দল | প্রথম লেগ | দ্বিতীয় লেগ | মোট |
---|---|---|---|
রিয়াল মাদ্রিদ | ০ | ১ | ১ |
আর্সেনাল | ৩ | ২ | ৫ |
আর্সেনালের জন্য নতুন অধ্যায়
- ২০০৯ সালের পর প্রথমবার সেমিফাইনালে আর্সেনাল
- রোমাঞ্চকর পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসী গানাররা
- প্রতিপক্ষ: পিএসজি
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা ছিল ২০২০ সালের কোভিড-কালে। এবার আবার তাদের থেমে যেতে হলো কোয়ার্টার ফাইনালেই।