ইসরায়েল ও ইরানে সংঘাত চতুর্থ দিনেও চলমান, বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

israel iran conflicts casualties

ইসরায়েল ও ইরানে চলমান সংঘাত চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, অপর দিকে আহত হয়েছে শত শত মানুষ।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসিতে) অন্তর্ভুক্ত আনসার আল-মাহদি কোর জানিয়েছে যে সোমবার সকালে জানজান প্রদেশে ইসরায়েলির হামলায় তাদের একজন কম্যান্ডার ও একজন সৈন্য নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন জানজানের ইজরুদ জেলার আইআরজিসির কম্যান্ডার রেজা নাজাফি ও সৈন্য হাসান রাসুলি — জানিয়েছে আইআরজিসিসংশ্লিষ্ট সংবাদসংস্থা তাসনিম।

এর আগে রবিবার বিকেলে ইসরায়েলের হামলায় অপর এক ঊর্ধ্বতন কম্যান্ডার — ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমিসহ — এবং তাঁর ডেপুটি হাসান মোহাকিক ও অপর এক ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হন।

শুক্রবার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে সেনা কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও নারী ও শিশুসহ 220 জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। অপর দিকে, ইরানে পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত ২১ জন।

রোববার রাত ও সোমবার ভোরে নতুন করে দুটি দফায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এর ফলেও নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৩০০জন — তথ্য প্রকাশ করেছে টাইমস অফ ইসরায়েল।

সোমবার সকালে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে রাতভর ইরান থেকে হওয়া হামলায় অন্তত ২৮৭জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ বছর বয়সী একজন নারী আশঙ্কাজনক এবং ১৪জন মধ্যম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অপর দিকে অনেকেই হালকা আহত বা মানসিক আঘাত পেয়েছে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ) বলেছে যে হাইফা শহরে ৩জন এবং মধ্য ইসরায়েলে আরও ৫জন নিহত হয়েছে। এর অর্থ, চার দিন আগে শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইরানে হামলায় 220জনেরও বেশি এবং অপর দিকে ইসরায়েলে 21জন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাট্‌জ হুমকি দিয়েছে যে, “ইরানে এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তাদেরকে মূল্য দিতে হবে।” আলীর খামেনির দিকে ইঙ্গিত করে কাট্‌জ বলেন, “তেহরানে যে স্বৈরাচার রয়েছে, তা বেসামরিক স্থানে হামলা চালাচ্ছে, কিন্তু এর মূল্য তাদেরও দিতে হবে।”