সাবেক সেনা সদস্যদের শাস্তি সংক্রান্ত আবেদন পুনর্বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাবেক সদস্যদের ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার গৌরবময় ঐতিহ্য ও সফলতা পেশাদারিত্ব, আত্মত্যাগ ও শৃঙ্খলার ভিত্তিতেই গড়ে তুলেছে। বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও সততা এই প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সাবেক সেনা সদস্য তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগকৃত শাস্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন। এসব আবেদন সেনাসদর যথাযথ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছে এবং এরই মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ গঠন করে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ৮০২টি আবেদনের মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ৬৯৬টি আবেদন ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সেনাবাহিনী তা দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে পরিচালনা করছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় সাবেক ও বর্তমান সেনা সদস্যদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। সরকার ও সেনাবাহিনী সাবেক সদস্যদের সম্মান ও ন্যায্য দাবির প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল।
সেনাবাহিনী আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। পাশাপাশি, সকলকে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।