রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) দুইদিন ধরে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি, তবে নতুন করে অবনতিও দেখা যায়নি। চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থায় কোনও অগ্রগতি নেই। তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তারা হাসপাতালে গেলেও সিসিইউতে প্রবেশ করতে পারেননি ইনফেকশনের ঝুঁকির কারণে। গ্লাসের বাইরে থেকে দেখেই ফিরতে হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, “ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি—তারা জানিয়েছেন অবস্থা ভালো নয়। সবাই দোয়া করবেন।” তিনি জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রতিদিন গুলশানের বাসা থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছেন তার ছোটপুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমানসহ পরিচারিকা ফাতেমা ও স্টাফ রূপা আক্তার।
গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানান, সংক্রমণের শঙ্কায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে এবং বয়সজনিত কারণে সুস্থতায় সময় লাগছে। সিসিইউতে নেওয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন আলোচনা করে নতুন করণীয় ঠিক করছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিচ্ছেন ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশ নিচ্ছেন জনস হপকিনস হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। গত রোববার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য সারাদেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
